নমস্কার, আমার ব্লগ এ আপনাকে স্বাগত | আমার লেখা কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানান, ধন্যবাদ |

কিছু কথা

সমাজ সংশোধনের কাজে নিযুক্ত অনেক কাল আগে থেকেই | বর্তমানে তার ধরণ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে মাত্র | আগে যে হাতে ছিল বন্দুক, আজ সে হাতে ধরেছি কলম | সংশোধনের কাজ চলতে থাকবে |

সহজ কথা যায়না বলা সহজে

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -

লেখালেখি

আমি পেশাদার লেখক নই | মন যখন ভাবায় কিছু লিখবো, ব্যস কলম ছুটতে শুরু করে | গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, ফিচার যখন যা ভাবি লিখতে শুরু করি |

প্রকাশিত বই

স্বর্ণ সন্ধান ও স্ত্রী মাকড়সা

সংকলনে মোট দশটি গল্প রয়েছে। প্রতিটি গল্পই অন্য গল্পের থেকে আলাদা।কী ঘটনায় কী প্রেক্ষাপট নির্মাণে কী বর্ণনার কৌশলে। ফলে পাঠককে প্রতিবারই এক নতুন দিকে টেনে নিয়ে যায় গল্পগুলি। অবাক করে বিস্ময়ে, দাঁড় করায় নতুন খাদের সামনে। সরাসরি বাস্তবতা ছেড়ে গল্পগুলি অন্যদিকে বাঁক নেয়। সবচেয়ে বড় কথা তাতে কোন দুর্বোধ্যতা তৈরি হয় না।বরং এক মায়াজাল পাঠককে অনির্দেশের দিকে টেনে নিয়ে যায়।

দিনের শেষে মনে হয়না কী, প্রতি মুহূর্তে নতুন এডভেঞ্চার না থাকলে বেঁচে থাকার মজা কোথায়?

বিষণ্ণ দুপুর

দুপুর মানুষের জীবনে যৌবন কাল। যখন সে শঙ্কাহীন, লড়াই করতে চায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে। বিষণ্ণ দুপুর উপন্যাসের নায়ক শুভ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় সত্যের পথ ধরে, কিন্তু বর্তমান সমাজের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে সে আটকে পড়ে, সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে সমঝোতাহীন এক স্বতন্ত্র জীবনের কথা ভাবতে গিয়ে চোখের সামনে দেখতে পায় মূল্যবোধের অবক্ষয়, যা থেকে রক্ষা পায় না খেলার মাঠও।

এবং অপরাহ্নে

এবং অপরাহ্ণে দশটী গল্পের সংকলন। প্রতিটি গল্পেই সমস্যাক্রান্ত মানবজীবনের কথাই বলা হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এইসব সমস্যা আমন্ত্রিত, মোকাবিলা করার পদ্ধতিও অনৈতিক। মূল্যবোধ হারানো মানুষের অন্ধকার দিকগুলোই প্রকট হয়ে উঠেছে গল্প গুলিতে।

প্রতিক্রিয়া

বিষণ্ণ দুপুর' ভাল লাগল, সুব্রত ! ফিল্ম জগতের সাথে যোগাযোগ আছে জানতাম না ! অনেক দিন আগে পড়া সমরেশ মজুমদারের "দৌড় " এর কথা মনে পড়ল সোমদত্তার চরিত্রে - কিন্তু সোমদত্তা এবং তার পরিপার্শ অনেক বেশি down to earth যা কাজে লেগেছে শুভর অসহায়তা পরিষ্ফুটনে। কল্পনা , হাবুদা , অরুণের চিত্রনও যথাযথ । আরও ভাল লেখার অপেক্ষায় রইলাম! stay blessed!
পল্লব কান্তি ঘোষ
আই জি - পুলিশ ( অবসরপ্রাপ্ত )
সুব্রত বাবু জীবনকে দেখেছেন আমাদের থেকে ভিন্ন চোখে,জীবনের একটা শক্তিশালী দিক আছে , সেটা হল তমস দিক, অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে প্রতিনিয়ত যে স্থলন,পচন তা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন কর্মজীবনের মধ্যে দিয়ে। শুভ শক্তি অশুভ শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলছে মূল্যবোধ,অশুভ শক্তির সঙ্গে অনৈতিক আঁতাত করতে হচ্ছে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে। সুব্রতবাবুর প্রতিটি লেখার মধ্যে এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে। বাংলা সাহিত্যে আর একটি নতুন দিকে উন্মোচন ঘটবে।
বিপুল দাস
সাহিত্যিক
মাথাভাঙ্গা থানার আই-সি সাহেবের চেম্বারে প্রতি সন্ধ্যায় জমে উঠত আড্ডা । সুরসিক ,তীব্র পাঠক ,গল্পকার আই-সি সুব্রত বসু উপহার দিতেন নতুন নতুন গল্প।এখান থেকেই প্রথম গল্প সংকলন "এবং অপরাহ্নে "। কখনও খেলোয়াড়, কখন ও চলচ্চিত্র কর্মী, কখন ও সি-আই-ডি, কখন ও বা নাট্যকর্মী তিনি ব্যক্তিজীবনে। সেই সব বিচিত্র অভিজ্ঞতার ভান্ডার নিয়ে তার উপন্যাস " বিষণ্ণ দুপুর" । বৃহত্তর বাংলা মানচিত্রে প্রচারবিমুখ এই কথাকার এখনও অনাবিষ্কৃত।
সঞ্জয় সাহা
শিক্ষক এবং সম্পাদক 'তিতির' পত্রিকা
সুব্রত বসুর লেখা উপন্যাস ' বিষন্ন দুপুর ' যে বিষন্নতাকে চেনাল তার ভার বিষন্নতার থেকে অনেক অনেক বেশী । বরং এক বিপন্নতার চিত্রকল্প আঁকা হয়ে গেছে নানা বর্ণনার কোলাজে , যা চেয়ে দেখা দূরের কথা , উচ্চারণ করারও সাহস হয়না আমাদের। এই উপন্যাসের লেখক যে কেমন করে সাহস সঞ্চয় করলেন তা উদ্ঘাটন করার তা সত্যিই বিস্ময়ের হেতু।
শ্রী দেবাশিস ঘোষ
সাহিত্যিক ও অবসরপ্রাপ্ত ডি আই জি
অবশেষে " বিষণ্ণ দুপুর " পড়লাম সপ্তা খানেক ধরে । শেষ হল আজ । সময় লাগল । প্রথম দিকে শুভকে নায়ক মনে হলেও পরে অ্যান্টি-নায়ক মনে হল যেন । সোমদত্তার চরিত্রটির নির্মাণ ভালো লেগেছ । শুভ চরিত্রের অস্থিরতা ভালো দেখিয়েছেন সুব্রতবাবু। তাঁর গল্পের গদ্যভাষা ঝরঝরে হলেও এ কাহিনিতে সে গতি আমি লক্ষ্য করিনি। শুরুর প্রায় ৪০ পাতার পর থেকেই অন্য দিকে বাঁক নিলো উপন্যাসের গতি।
কবি অমিতাভ দাস
সম্পাদক -  অবগুণ্ঠন